শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৪
আজিজ রেজাকারের রাজাচামচা
আজিজ রেজাকারের রাজাচামচা
আজিজ রেজাকার কথা কম বলে বলে অভিযোগ আনলেন জনাব মিয়া আল খৈয়াম মোস্তান এই মর্মে যে ,তুই মুয়ের কতা মাডিত হইডবার আগে চিলের মত উড়াইয়া নিতি, তোর হরে কি ঠাডা হইড ছেনী অডা, তোরে কি কুত্তায় কাম্বাইছেনি হালার থালা
মুখে তালা মার্কা আল কাতরা লাগাইছতনি
হদির থদী/
চোবাই গালের দাঁত বেগগুন হালাই দিমু
তামাশা কর না/
ঠেলার নাম বাবাজী/
বান্দর নাচামু বেনচোত রে /
গেরামেরতুন বহিস্কার করি আলামু/
থানার হুলিশ ডাকাইত ধরি গাছের ঠাইলের লগে ঠেং বান্ধি মাথা নিচে লটকাই যেমন বন্দুকের ডাট দিয়া বাড়ি মারে হেটার তুনো আরো জোরে মারুম/
বুড়া কালে আমিলীগের রেজাকারী কর হারামখোর/
মে পাকিচোত হো!
তোর কলমের কালি শহীদের রক্তের তুনো আরো বেশী পিউর করি হালামু / আর তোর মুখের বুলি আই বগলীর রস লাগাই কুলি করি আলামু/
জবান জনমের জন্য বন্ধ ওই যাইবো
বোকারাম হাডারী
বাবু রাম সাপুডিয়া কোন এক চর কেম্বার জঙ্গলের ভিতরে/
কিরে মিয়া মনতা হাগলা মোস্তান?
গোরস্তান চিনোনি?
এত কিছু মিছু থাইকতে রেজা কার রাজা সাইজ্জস
কচু গাছের লগে হাঁসি দিলিনা কেন?
মিয়া সাদ্দাম মোস্তান রেজাকারের মত ঝুলাআলামু
তারহর রেজাকার আজিজ লবণ লাগামু
কাইনলে বেতের চিকনা কাডা দিয়া মারি হোতালমু/
হরে তারহর
আসিতেছে সফল ছবির নির্মাতা আজিজ রেজাকারের আরেক সিনেমা
রেজাকার ইন্তের্কন্তিনেন্তালের প্রযোজনা
" আজিজ রেজাকারের রাজাচামচা"
বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০০৯
আমার দুকালের রবি
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
৫ই নভেম্বর,২০০৯।
শ্রদ্ধেয়া আম্মাজান ওমর আফরোজের মৃত্যুবার্ষিকীতে
মা আমার জান্নাত
কী এক পুতপবিত্র স্নিগ্ধতা অভিরাম জ্বলন্ত,
স্বর্গের জ্যোতির সুপ্রভাত
কতদিন রাখেনা মা আমার মাথায় হাত।
এখন আমার আমার কবিতার কালোরাত।
ঐকিক অঙ্কের খাতায় সরল পাতায়
সুদকষার খসড়ায় আমি যখন মগ্ন এক
তখনি ডাক পড়ে মার।
শিম আর মাগুরের ঝোল দিয়ে ভাত খেতে আয়।
ওজিফাতে মগ্ন যখন মায়
আল্লাহের নিরানব্বই নাম নিয়ে
কান পেতে শুনি মায়ের কোলে বসেঃ
‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত’
আমি তখন হয়ে যাই লাশ এক, জীবন্ত।
গায়ের চামড়া দিয়ে জুতো বানালেও দুধের দাম হবেনা শোধ,
আমি এক নির্বোধ,কতই না ঋৃনী।
শোধের উপায়?
নাই। শুধুমাত্র ঐকান্তিক প্রার্থনা বিধাতায়।
মায়ের চোখের মনিতে দেখেছি আমার ছবি
রত্নগর্ভা মা আমার,
আমার দুকালের রবি।
আজ শুধু হাহাকার, বড়ই হাহাকার শুন্যতার।
স্নেহের হাত,মায়ের দোয়া নেই পড়ন্ত বিকেলে
কান্নার রাজ্যে বাস করেন কোন এক স্বভাব কবি,
দিনেরাতে বসে বসে রক্তের পিনকি মেখে
আঁকেন যেনো এক নাঁড়ির টানের ছবি।
বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০০৯
বাংলার মাটি মুক্তিযোদ্ধার ঘাঁটি
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিকলীতে জনতার বিক্ষোভ
আমাদের অধিকার আদায় করবোই করবো।
প্রান্তিক পরিবার নিস্ব চড়া সুদের হারে
ধনশালা গ্রাম দারিদ্রের কোপানলে
শিয়ালিডাঙ্গার খানজাহান লোপাট করে
দারিদ্রবিমোচনের নামে দরিদ্রের ধন ধৌলতপুরে,
গোদাগাড়ীতে বোদাই মেম্বর গোদাইছা চাষ করে
শীতকালে জমিতে পানি আটকে।
কোটি টাকা পাচার করে টাকার কুমির,
রাঘব আর বোয়াল পরস্পর যোগসাজসে সিংগাপুরে,
এখন আবার হাজত খাটে কাশিমপুর কারাগারে।
শুভঙ্করের ফাঁকে আয়কর ফাঁকি দেয়
গায় সকলে একযোগে মিথ্যার বেসাতি।
সন্ত্রাস,টেন্ডারবাজ আর ধর্ষনকারীর বিচার করবে আজ আইনের নিজস্ব গতি।
আর একযোগে চালাবে যোদ্ধা সাঁড়াশী অভিযান
বাংলার বীরযুবার নতুন যৌবনের এখন নবীনবরণ।
পরাজয়ে ডরেনা বীর
আবার উঠবে তবে বাঘের মত খেপে
সাকিবের টাইগার বাহিনী,
গড়বে এক নতুন বীরগাঁথা
বিজয়ের সমুজ্জ্বল কাহিনী
ডলারের দৃঢ়তায় মুশফিকুরের অবদমিত আশায়
বুক বাঁধে আপামর জনতায়।
খমতার দাপটে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিরাই
দেশের মানচিত্র বদলাতে তৎপর।
দালালদের সাধের পাকিস্তানের মানচিত্র বদলিয়েছে
বাংলার বীরসেনা একাত্তরে।
লক্ষ শহীদের প্রানের তাজা রক্তের বিনিময়ে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেই করবে এই রক্তাক্ত মাটি,
শহীদের রক্ত সোনার চেয়েও খাঁটি।
সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০০৯
মেঘনার ভাঙ্গনে
আমার কবিতার কালোরাত
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
মেঘনার ভাঙ্গনে
নিউ ইয়র্ক,অক্টোবর ২৬,২০০৯
উত্তাল মেঘনার ভয়াল স্রোতে বিলীন বসতবাড়ি,গাছপালা আর জনবসতি,
কত আশায় মানুষ বাঁধে ঘর, স্বপ্নেরা হতাশ এবং বড়ই হতাহত,হৃদয়ে বেদনার হাহাকার।
মেতেছে মেঘনা আজি উন্মত্তলীলায় আবার।
ভয়াবহ ভাঙ্গনে শত শত পরিবার ভিটেমাটিহারা
মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই আর আমি বিহ্বল এক দিশেহারা
জেলে দিনমজুর পথের ফকির
কখন থামাবে তোমার উন্মাদনার তান্ডবলীলা ?
মেঘনার ভাঙ্গনের আতঙ্কে দিনকাটায় দিনমজুর
পানির উত্তাল ঢেঊয়ের আঘাতে ও প্রবল স্রোতে গ্রামের পর গ্রাম বিলীন।
পূর্ণিমার জোয়ারের জোতে ভেসে যায় হৃদয়ের মনপূরা
ভাটার স্রোতের তোড়ে দূকুলের মাটি নদীতে মিশে,
ভিটেমাটি হারা ভাঙ্গনের কবলে আমাদের হৃদয়ের ভোলা।
মেঘনার পাড় জুড়ে নীরব কান্না, আমার অন্তরে প্রবল বন্যা,
মেঘনার গর্জনে সবাই তটস্হ,আত্মীয়স্বজন ইতস্ততঃবিক্ষিপ্ত।
‘মেঘনা আমাগো বেক খাইছে, অহন রইছে পরানডা। এইড়া নিলে বাইচ্চা যাইতাম’।
পুর্নিমার জোতে পানির তীব্রতা বাড়ে, ভাঙ্গে ধৈর্য্যের বাঁধ
ইলিশার নাদের মিয়ার হাট
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলেঃ
আমার গ্রাম- গুপ্তগঞ্জ স্বারাজগঞ্জ মহেশখালী দক্ষিনের তালতলা আর তালুকগ্রাম,
নদীতে বিলীন বিরান আমার গ্রাম।
আমার বাড়ি,বিলীন আমার বাড়ি,
মিঝিবাড়ি ইসলামবাড়ি গোলদারবাড়ি সর্দারবাড়ি ঢালিবাড়ি তালুকদারবাড়ি
খাঁখাঁ করে এখন নদীতে বিলীন খাঁবাড়ি
মেঘনার গর্ভে বিলীন আমার হৃদয় নিংড়ানো বাড়ি।
কখন থামবে আবার উত্তাল মাতাল মেঘনার বিশাল বিশাল ঢেউ ?
কখন থামবে আবার উন্মাদিনী মেঘনার বিরহের বিধ্বংসী ফেঊ ?