বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০০৯

আমার দুকালের রবি

আমার দুকালের রবি
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ
নিউ ইয়র্ক
৫ই নভেম্বর,২০০৯।

শ্রদ্ধেয়া আম্মাজান ওমর আফরোজের মৃত্যুবার্ষিকীতে

মা আমার জান্নাত
কী এক পুতপবিত্র স্নিগ্ধতা অভিরাম জ্বলন্ত,
স্বর্গের জ্যোতির সুপ্রভাত
কতদিন রাখেনা মা আমার মাথায় হাত।
এখন আমার আমার কবিতার কালোরাত।

ঐকিক অঙ্কের খাতায় সরল পাতায়
সুদকষার খসড়ায় আমি যখন মগ্ন এক
তখনি ডাক পড়ে মার।
শিম আর মাগুরের ঝোল দিয়ে ভাত খেতে আয়।
ওজিফাতে মগ্ন যখন মায়
আল্লাহের নিরানব্বই নাম নিয়ে
কান পেতে শুনি মায়ের কোলে বসেঃ
‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত’
আমি তখন হয়ে যাই লাশ এক, জীবন্ত।
গায়ের চামড়া দিয়ে জুতো বানালেও দুধের দাম হবেনা শোধ,
আমি এক নির্বোধ,কতই না ঋৃনী।
শোধের উপায়?
নাই। শুধুমাত্র ঐকান্তিক প্রার্থনা বিধাতায়।

মায়ের চোখের মনিতে দেখেছি আমার ছবি
রত্নগর্ভা মা আমার,
আমার দুকালের রবি।
আজ শুধু হাহাকার, বড়ই হাহাকার শুন্যতার।
স্নেহের হাত,মায়ের দোয়া নেই পড়ন্ত বিকেলে
কান্নার রাজ্যে বাস করেন কোন এক স্বভাব কবি,
দিনেরাতে বসে বসে রক্তের পিনকি মেখে
আঁকেন যেনো এক নাঁড়ির টানের ছবি।

বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০০৯

বাংলার মাটি মুক্তিযোদ্ধার ঘাঁটি

বাংলার মাটি মুক্তিযোদ্ধার ঘাঁটি
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ

নিকলীতে জনতার বিক্ষোভ
আমাদের অধিকার আদায় করবোই করবো।
প্রান্তিক পরিবার নিস্ব চড়া সুদের হারে
ধনশালা গ্রাম দারিদ্রের কোপানলে
শিয়ালিডাঙ্গার খানজাহান লোপাট করে
দারিদ্রবিমোচনের নামে দরিদ্রের ধন ধৌলতপুরে,
গোদাগাড়ীতে বোদাই মেম্বর গোদাইছা চাষ করে
শীতকালে জমিতে পানি আটকে।


কোটি টাকা পাচার করে টাকার কুমির,
রাঘব আর বোয়াল পরস্পর যোগসাজসে সিংগাপুরে,
এখন আবার হাজত খাটে কাশিমপুর কারাগারে।
শুভঙ্করের ফাঁকে আয়কর ফাঁকি দেয়
গায় সকলে একযোগে মিথ্যার বেসাতি।
সন্ত্রাস,টেন্ডারবাজ আর ধর্ষনকারীর বিচার করবে আজ আইনের নিজস্ব গতি।

আর একযোগে চালাবে যোদ্ধা সাঁড়াশী অভিযান
বাংলার বীরযুবার নতুন যৌবনের এখন নবীনবরণ।

পরাজয়ে ডরেনা বীর
আবার উঠবে তবে বাঘের মত খেপে
সাকিবের টাইগার বাহিনী,
গড়বে এক নতুন বীরগাঁথা
বিজয়ের সমুজ্জ্বল কাহিনী
ডলারের দৃঢ়তায় মুশফিকুরের অবদমিত আশায়
বুক বাঁধে আপামর জনতায়।

খমতার দাপটে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিরাই
দেশের মানচিত্র বদলাতে তৎপর।
দালালদের সাধের পাকিস্তানের মানচিত্র বদলিয়েছে
বাংলার বীরসেনা একাত্তরে।
লক্ষ শহীদের প্রানের তাজা রক্তের বিনিময়ে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেই করবে এই রক্তাক্ত মাটি,
শহীদের রক্ত সোনার চেয়েও খাঁটি।

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০০৯

মেঘনার ভাঙ্গনে

আমার কবিতার কালোরাত

মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ

মেঘনার ভাঙ্গনে

নিউ ইয়র্ক,অক্টোবর ২৬,২০০৯

উত্তাল মেঘনার ভয়াল স্রোতে বিলীন বসতবাড়ি,গাছপালা আর জনবসতি,

কত আশায় মানুষ বাঁধে ঘর, স্বপ্নেরা হতাশ এবং বড়ই হতাহত,হৃদয়ে বেদনার হাহাকার।

মেতেছে মেঘনা আজি উন্মত্তলীলায় আবার।

ভয়াবহ ভাঙ্গনে শত শত পরিবার ভিটেমাটিহারা

মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই আর আমি বিহ্বল এক দিশেহারা

জেলে দিনমজুর পথের ফকির

কখন থামাবে তোমার উন্মাদনার তান্ডবলীলা ?

মেঘনার ভাঙ্গনের আতঙ্কে দিনকাটায় দিনমজুর

পানির উত্তাল ঢেঊয়ের আঘাতে ও প্রবল স্রোতে গ্রামের পর গ্রাম বিলীন।

পূর্ণিমার জোয়ারের জোতে ভেসে যায় হৃদয়ের মনপূরা

ভাটার স্রোতের তোড়ে দূকুলের মাটি নদীতে মিশে,

ভিটেমাটি হারা ভাঙ্গনের কবলে আমাদের হৃদয়ের ভোলা।

মেঘনার পাড় জুড়ে নীরব কান্না, আমার অন্তরে প্রবল বন্যা,

মেঘনার গর্জনে সবাই তটস্হ,আত্মীয়স্বজন ইতস্ততঃবিক্ষিপ্ত।

মেঘনা আমাগো বেক খাইছে, অহন রইছে পরানডা। এইড়া নিলে বাইচ্চা যাইতাম

পুর্নিমার জোতে পানির তীব্রতা বাড়ে, ভাঙ্গে ধৈর্য্যের বাঁধ

ইলিশার নাদের মিয়ার হাট

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলেঃ

আমার গ্রাম- গুপ্তগঞ্জ স্বারাজগঞ্জ মহেশখালী দক্ষিনের তালতলা আর তালুকগ্রাম,

নদীতে বিলীন বিরান আমার গ্রাম।

আমার বাড়ি,বিলীন আমার বাড়ি,

মিঝিবাড়ি ইসলামবাড়ি গোলদারবাড়ি সর্দারবাড়ি ঢালিবাড়ি তালুকদারবাড়ি

খাঁখাঁ করে এখন নদীতে বিলীন খাঁবাড়ি

মেঘনার গর্ভে বিলীন আমার হৃদয় নিংড়ানো বাড়ি।

কখন থামবে আবার উত্তাল মাতাল মেঘনার বিশাল বিশাল ঢেউ ?

কখন থামবে আবার উন্মাদিনী মেঘনার বিরহের বিধ্বংসী ফেঊ ?

রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০০৯

শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০০৯

শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০০৯

ধাপ্পাবাজের থাপ্পর

আমার কবিতার কালোরাত

ধাপ্পাবাজের থাপ্পর

মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ

আমরা এখন ধান ভানতে শিবের গীত গাই,

জলবায়ুর পরিবর্তনে পল্টনে মশাল মিছিল লাগাই,

সকল পোয়াতিকে লাউ দিয়ে বাচ্চা মুরগীর ঝোল খাওয়াই।

ইসবগুলের ভুসি খাইয়া কলিজা জুড়াই,

লুটপাট করে পাহাড়ের সম্পদ গড়ি।

ধরমের ষাঁড়ের মত ধর্মশালায় বসে ধেনো মদ খাই।

ধাপ্পাবাজ ঘাতকের দোসর সেজে রাষ্ট্রযন্ত্র চালাই।

বিশ্বে খাদ্য সঙ্কটের আওয়াজ,শতাব্দীর দীর্ঘ খরায় কাবু ধরাতল,

বুদ্ধির গোড়ায় ধোঁয়া দিয়ে,দারিদ্রের মুলশিকড় উৎপাটনে ব্রত

আমরা সবাই রত।

নাড়ির টানে শিকড়ে পানি ঢালি আর শিকড় কাটি চোখে ধুলি দিয়ে।

ধোপা-নাপিত বন্ধে বড় একরোখা আমরা।

অথচ ক্ষুধা-দারিদ্র-বৈষম্য-বঞ্চনা মুক্ত ধুলিশয্যা গড়তে একপা খাড়া,

ফাঁসির রজ্জু গলায় ঝুলিয়ে

জাতির জনকের হত্যাকান্ড অপরিহার্য ছিলো বলে এখনো

ধানাই-পানাইয়ের ধকল চালাই অবরে সবরে,

বিকারগ্রস্থ রসু খাঁর দলে নাম লিখাই ধাপধাড়া গোবিন্দপুর যাবো বলে,

হয় ধারে কাটবো নয় ভারে কাটবো ধানগাছের তক্তা,

কথার ধোকড় ধনদাস আমরা ধামালি বাজাই অবনিতলে,

ধুরন্ধরের দল চারিধারে,আর ধোড়িবাজিতে সয়লাব,

ধারা সম্পাত আজ ধ্বানতারির নক্ষত্রপাতে।

নিউ ইয়র্ক,২১শে অক্টোবর,২০০৯।



শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

ভীষন অস্থিরতার রাত

ভীষন অস্থিরতার রাত

মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ

নিউ ইয়রক,
৯/১১/২০০৯
থমথমে রাত,ঘনকালো গভীর কালোরাত
আবার এক পশলা বৃষ্টি বয়ে গেল।
ডাউনটাউনের নীরবতা আমার গায়ে ঝিলিক মারে,
কাঁটার মতো বিঁধে।
হাডসনের তরল জল খুব কাঁপছিলো ভীষন অস্থিরতায়,
যেনো শহরে আজ নেকড়ে বাঘ কালোদাগ এঁকে দিলো।
বিশ্ববানিজ্য কেন্দ্র নিষ্ঠুর রাত জেগে ছিলো।
এক পলক ঘুমায়নি টাওয়ার,
হাজার মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে।
দুই পা খাড়া,সারারাত বোবার মতো দাড়িয়ে,
বাতাসের কান আছে,শো শো শব্দে কাঁপে ভীত।
একি এক নিষ্ঠুর রাত কাটে আমার।
জানার কোনও উপায় ছিলোনা ভোরের বার্তা,
কিম্বা ঘাতকের ধ্বংসলীলার প্রলয় যাত্রা।

বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

শাহনাজের পদাবলি/ মুখোশধারী নোংরা মানুষ

শাহনাজের পদাবলি
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ

মুখোশধারী নোংরা মানুষ

শাহনাজঃ
চারপাশে এত মুখোশপরা মানুষজন,
এদেরকে চিনতে তিনদিন কিম্বা সাতদিন লাগে,
বেশি অভিজ্ঞ খেলাড়িকে পনেরোদিন লাগে।
বন্ধ করো নিষ্ঠুর এই খেলা।
মাঝে মাঝে ওদের কুৎসিত মুখোশটা টেনে ছিড়ে দিতে,
কিন্তু তাতেই আমার হাত নোংরা হবে,
তাই আমার সীমানার প্রাচীরটাকে আরেকটু উঁচু করে দিলাম।
এটাই বিজ্ঞলোকের মানের কাজ বটে।

আজিজ মোহাম্মদ ভাইঃ
মিথ্যা হুমকির জন্য তোমাকে জেলে যেতে হবে।
তখন আমাকে উকিল ব্যারিষ্টার মাসুদকে খুঁজতে হবে।
আবার হয়তো কাজী অফিসে গিয়ে ওই পাজীটার সাথে
তোমাকে বিয়ে দিতে হবে।

শাহনাজঃ
আস্তাগফিরুল্লাহ। আমি যদি জেলে যাই তবে তারে ফিনিস করেই যাবো।
যাতে আর কোন শয়তানের কাছে যেতে না হয় আমাকে ।
কারাগারই হবে আমার পরিবার।
আর শয়তানতো শয়তান। তার সাথে কেন মানুষের বিয়ের অনুষ্ঠান।
তুই কি আমাকে বিশ্বাস করিস না ভাই?
কেমন করে বলতে পারলি তুই।
মনে বড় কষ্ট দিলি তাই।
আমার উপর কি তোর ফেইথ নাই?
আজান দিচ্ছে,আমি নামাজে যাই।

আজিজ মোহাম্মদ ভাইঃ
তুই একি বল্লি বইনে,
আমি না তোর পরদেশী ভাই আপনজনে
মাটির দুলাল যে কাঁন্দায়,
তারে মাফ করেনা আল্লাহতালায়,
বোনতো ভাইয়ের মতই হয়,
শান্ত হও,আছে পাশে দয়াময়,
বিশ্বাসে আছো , এবং আমার নিঃশ্বাসে।
ভাই আর বোনের সম্পর্ক বড়ই নিটোল এই জগতে।

শাহনাজঃ
আল্লাহ তোকে খুব পাক্কা ঈমানদার বানালো কি শখে?
ঈমানের এতই জোর যে কমিনা শয়তান ভয়ে ভয়ে থাকে,
শাহনাজের পদাবলি যখন বাংলার আনাচে কানাচে,
কবিতার পংতিমালার স্রোতে আমার ভাইয়ের পরান নাচে।

আজিজ মোহাম্মদ ভাইঃ
"মানুষের মন হইলো মসজিদ কিম্বা মন্দির
একবার যদি ভাংগো
আজীবন তুমি কান্দো
আহারে মাটির দুলাল
করে শুধু উলাল আর উলাল
এই দুই দিনের দুনিয়ায়,
আমি আল্লাহরে ডাকি
খাই দাই আর ঘুমাই,
পরজগতে আমার কোন টেনশন নাই।"

শাহনাজঃ
দিলাম আমি দুই ফোঁটা জল,
হাত পাতো
হাত পাতো
নয়তো বুক পেতে
নিলে থাকবেনা আর
আমার জীবনের কোলাহল।

আজিজ মোহাম্মদ ভাইঃ

প্রতিটি মানুষ বিক্ষ্যাত
কেউবা জীবনে
কেউবা যৌবনে
ভালোবাসার ছন্দে ছন্দে পদ্য রচে
জীবনের গদ্যে নানান রঙ্গের ফুল ফোটে
ভাঙ্গে কতো ভুল
নারীর কোমল দৃষ্টি
অব্যক্ত ভাষা
জাগায় কতইনা আশা,
মৌনতার ভাষায়।
তুমি আমি সে
ব্যতিক্রম কিসে।

শাহনাজঃ
কিন্তু আমার পংতিমালায় ফাঁসির রজ্জু,
আমার কবিতা তালাক দেয় অতি চালাকদের,
কারন তারা অজস্র বিবি রাখে।
আমার কবিতার কালোরাত পাঠ হনুদের জানাজা
জাহান্নাম যেনো হয় ওই চালাক কাকের ঠিকানা,
আতরের বদলে দিতে হয় তারে ইতরের বাতাস
আমার কবিতা যমদূত মেঘকালো আকাশ।

আজিজ মোহাম্মদ ভাইঃ
ইতরেরা বাস করে সমাজের ভিতরে,
ইতরের ভাষায় বড়ই কাতর সবাই,
বুকে একফোটা রক্ত থাকতে তার নিস্তার নাই।

শাহনাজঃ
আমার বুকের দীর্ঘনিশ্বাস আর আটকাতে পারলাম না।
আমি কমজোরি নারী।।
আমার আশেপাশের মানুষ যেন কেমন এক অদ্ভুত আচরন করে।
কারো মনে আমি আঘাত দিতে পারিনা,নিজেরই মন ভাংগি আমি।
দশজন যদি আমায় বিয়ে করতে চায় ,আমি তা মানবো কেন?
আমার ভালো লাগা না লাগার কি দাম নাই?
মনমন্দির যদি ভাঙ্গে তাতে ভাঙ্গুক,
অভিশাপ দেয় যদি দেয় তাতে, দিক।

আজিজ মোহাম্মদ ভাইঃ
জানি আমি জানি
বুঝি আমি সকল আকুতি আর মিনতি ,
কবরের নিসংগতার নাই কোনো বিরতি।
শাহনাজঃ
"রাত্রি অন্ধকার,
কু্কুরের চিৎকার,
অশরীরী আত্মার আনাঘোনা
কিছু কি আছে অজানা?
গুমরে গুমরে কাদছে কারা?
হবেনা আর তাদের ফিরা
চলে গেছে যারা।"

মানব জমিন
শাহনাজের পদাবলি
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ


রাজপুত

আমি গেরামের সহজ সরল এক মাইয়্যা
দিন কাটাই নাচিঁয়া কুদিয়া,
রাতের বেলায় স্বপন দেখি রাজপুত
দিনের বেলায় মিলে যেন এক টাউট।
দাও দিয়া দিমু কোপ কইলে পর
আসেনা আর কাছে,নাগালের ভিতর।


জোনাকিদের মিছিলে

গ্রাম বাংলার খাল বিল নদী নালা এবং সবুজ শ্যামল ঘাস
বনলতা আর ফলমুলে যখন গড়ে জীবনের নির্যাস,
যখন মক্তবেতে মৌলানা মারতো থাপ্পর
হইলে পর মদের লম্বা টানের ভুল,
গাল ফুলে লাল।
আমার বাল্যকাল আমার সোনালি সকাল
আমার রুপালি বিকালের গান
নাচাঁয় আমার প্রান।
পুকুরে সাঁতার কাটি আর শাপলা তুলি
ডুব দিয়ে নিখোঁজ আষাঢ়ের ভরা জলে
আনন্দের বন্যায় কাটে শৈশব
রাত কাটে আমার জোনাকিদের মিছিলে।

শাহনাজের পদতলে গড়ায় কত পদ্মফুল
কতইনা ভ্রমরা হয় আকুল।

দাবি
ভাইয়া আমারে আইফোন কিনা দিবিনা?
না দিলে তুই আর মাই ভাই থাকবিনা।

ভানবাসি আমি ঢাকা শহরে
নৌকা চালাই কত জোরে
ঢাকার অলিতে গলিতে
ফুতপাতে রাজপথে।



হায়েনার কালোদাত

বদর বদর

Hayenar Kalodat

আমার কবিতার কালরাত
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ

শাহনাজের পদাবলি

হায়েনার কালোদাত কতো লম্বা
আতরের গন্ধে ভরা তার জোব্বা।
যৌনতার মিছিলে,
গীত করে উলঙ্গ নৃত্যের তালে তালে।
ভুবুক্ষু দানব মানবের রুপেই করে বসবাস,
বিকৃতরুচির ঘটে ভয়ঙ্কর বিকাশ।
নীতির বাক্যবানে জর্জরিত,
আর ভিতরে ভিতরে ইতরের চিৎকার।
কুৎসিত কদাকার কালোদাত তার
ভাংতে চায় সুরম্য প্রাচীর আমার সীমানার ।
নিউ‌ ইয়র্ক,২০০৯।

Badr Badr

আমার কবিতার কালরাত
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ

বদর বদর

সত্যের জয় চারিদিকে মিথ্যার পরাজয়,
রমজানের যুদ্ধ ছিলো বদর বদর।
মোমিনের খঞ্জর অতীব ধারালো
নাই তার কোনো ডর।
গায়েবের শক্তি কাজ করে দুনিয়াবী স্বার্থের বিরুদ্ধে,
তোরা কে কে যাবি আজি ঈমান রক্ষার যুদ্ধে।
পরাজয়ে ডরেনা বীর,
যখন থাকে মুখে তাকভীর।
জাহান্নাম,
আল্লাহের শত্রুদিগের পরিণাম।
মাবুদের দুনিয়া ছোট হয়ে যায়,
নাফরমানী করে যে, আল্লাহতালায়।

নিউ ইয়র্ক,
৯/১০/২০০৯