বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০০৯

বাংলার মাটি মুক্তিযোদ্ধার ঘাঁটি

বাংলার মাটি মুক্তিযোদ্ধার ঘাঁটি
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ

নিকলীতে জনতার বিক্ষোভ
আমাদের অধিকার আদায় করবোই করবো।
প্রান্তিক পরিবার নিস্ব চড়া সুদের হারে
ধনশালা গ্রাম দারিদ্রের কোপানলে
শিয়ালিডাঙ্গার খানজাহান লোপাট করে
দারিদ্রবিমোচনের নামে দরিদ্রের ধন ধৌলতপুরে,
গোদাগাড়ীতে বোদাই মেম্বর গোদাইছা চাষ করে
শীতকালে জমিতে পানি আটকে।


কোটি টাকা পাচার করে টাকার কুমির,
রাঘব আর বোয়াল পরস্পর যোগসাজসে সিংগাপুরে,
এখন আবার হাজত খাটে কাশিমপুর কারাগারে।
শুভঙ্করের ফাঁকে আয়কর ফাঁকি দেয়
গায় সকলে একযোগে মিথ্যার বেসাতি।
সন্ত্রাস,টেন্ডারবাজ আর ধর্ষনকারীর বিচার করবে আজ আইনের নিজস্ব গতি।

আর একযোগে চালাবে যোদ্ধা সাঁড়াশী অভিযান
বাংলার বীরযুবার নতুন যৌবনের এখন নবীনবরণ।

পরাজয়ে ডরেনা বীর
আবার উঠবে তবে বাঘের মত খেপে
সাকিবের টাইগার বাহিনী,
গড়বে এক নতুন বীরগাঁথা
বিজয়ের সমুজ্জ্বল কাহিনী
ডলারের দৃঢ়তায় মুশফিকুরের অবদমিত আশায়
বুক বাঁধে আপামর জনতায়।

খমতার দাপটে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিরাই
দেশের মানচিত্র বদলাতে তৎপর।
দালালদের সাধের পাকিস্তানের মানচিত্র বদলিয়েছে
বাংলার বীরসেনা একাত্তরে।
লক্ষ শহীদের প্রানের তাজা রক্তের বিনিময়ে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেই করবে এই রক্তাক্ত মাটি,
শহীদের রক্ত সোনার চেয়েও খাঁটি।

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০০৯

মেঘনার ভাঙ্গনে

আমার কবিতার কালোরাত

মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ

মেঘনার ভাঙ্গনে

নিউ ইয়র্ক,অক্টোবর ২৬,২০০৯

উত্তাল মেঘনার ভয়াল স্রোতে বিলীন বসতবাড়ি,গাছপালা আর জনবসতি,

কত আশায় মানুষ বাঁধে ঘর, স্বপ্নেরা হতাশ এবং বড়ই হতাহত,হৃদয়ে বেদনার হাহাকার।

মেতেছে মেঘনা আজি উন্মত্তলীলায় আবার।

ভয়াবহ ভাঙ্গনে শত শত পরিবার ভিটেমাটিহারা

মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই আর আমি বিহ্বল এক দিশেহারা

জেলে দিনমজুর পথের ফকির

কখন থামাবে তোমার উন্মাদনার তান্ডবলীলা ?

মেঘনার ভাঙ্গনের আতঙ্কে দিনকাটায় দিনমজুর

পানির উত্তাল ঢেঊয়ের আঘাতে ও প্রবল স্রোতে গ্রামের পর গ্রাম বিলীন।

পূর্ণিমার জোয়ারের জোতে ভেসে যায় হৃদয়ের মনপূরা

ভাটার স্রোতের তোড়ে দূকুলের মাটি নদীতে মিশে,

ভিটেমাটি হারা ভাঙ্গনের কবলে আমাদের হৃদয়ের ভোলা।

মেঘনার পাড় জুড়ে নীরব কান্না, আমার অন্তরে প্রবল বন্যা,

মেঘনার গর্জনে সবাই তটস্হ,আত্মীয়স্বজন ইতস্ততঃবিক্ষিপ্ত।

মেঘনা আমাগো বেক খাইছে, অহন রইছে পরানডা। এইড়া নিলে বাইচ্চা যাইতাম

পুর্নিমার জোতে পানির তীব্রতা বাড়ে, ভাঙ্গে ধৈর্য্যের বাঁধ

ইলিশার নাদের মিয়ার হাট

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলেঃ

আমার গ্রাম- গুপ্তগঞ্জ স্বারাজগঞ্জ মহেশখালী দক্ষিনের তালতলা আর তালুকগ্রাম,

নদীতে বিলীন বিরান আমার গ্রাম।

আমার বাড়ি,বিলীন আমার বাড়ি,

মিঝিবাড়ি ইসলামবাড়ি গোলদারবাড়ি সর্দারবাড়ি ঢালিবাড়ি তালুকদারবাড়ি

খাঁখাঁ করে এখন নদীতে বিলীন খাঁবাড়ি

মেঘনার গর্ভে বিলীন আমার হৃদয় নিংড়ানো বাড়ি।

কখন থামবে আবার উত্তাল মাতাল মেঘনার বিশাল বিশাল ঢেউ ?

কখন থামবে আবার উন্মাদিনী মেঘনার বিরহের বিধ্বংসী ফেঊ ?

রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০০৯

শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০০৯

শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০০৯

ধাপ্পাবাজের থাপ্পর

আমার কবিতার কালোরাত

ধাপ্পাবাজের থাপ্পর

মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ

আমরা এখন ধান ভানতে শিবের গীত গাই,

জলবায়ুর পরিবর্তনে পল্টনে মশাল মিছিল লাগাই,

সকল পোয়াতিকে লাউ দিয়ে বাচ্চা মুরগীর ঝোল খাওয়াই।

ইসবগুলের ভুসি খাইয়া কলিজা জুড়াই,

লুটপাট করে পাহাড়ের সম্পদ গড়ি।

ধরমের ষাঁড়ের মত ধর্মশালায় বসে ধেনো মদ খাই।

ধাপ্পাবাজ ঘাতকের দোসর সেজে রাষ্ট্রযন্ত্র চালাই।

বিশ্বে খাদ্য সঙ্কটের আওয়াজ,শতাব্দীর দীর্ঘ খরায় কাবু ধরাতল,

বুদ্ধির গোড়ায় ধোঁয়া দিয়ে,দারিদ্রের মুলশিকড় উৎপাটনে ব্রত

আমরা সবাই রত।

নাড়ির টানে শিকড়ে পানি ঢালি আর শিকড় কাটি চোখে ধুলি দিয়ে।

ধোপা-নাপিত বন্ধে বড় একরোখা আমরা।

অথচ ক্ষুধা-দারিদ্র-বৈষম্য-বঞ্চনা মুক্ত ধুলিশয্যা গড়তে একপা খাড়া,

ফাঁসির রজ্জু গলায় ঝুলিয়ে

জাতির জনকের হত্যাকান্ড অপরিহার্য ছিলো বলে এখনো

ধানাই-পানাইয়ের ধকল চালাই অবরে সবরে,

বিকারগ্রস্থ রসু খাঁর দলে নাম লিখাই ধাপধাড়া গোবিন্দপুর যাবো বলে,

হয় ধারে কাটবো নয় ভারে কাটবো ধানগাছের তক্তা,

কথার ধোকড় ধনদাস আমরা ধামালি বাজাই অবনিতলে,

ধুরন্ধরের দল চারিধারে,আর ধোড়িবাজিতে সয়লাব,

ধারা সম্পাত আজ ধ্বানতারির নক্ষত্রপাতে।

নিউ ইয়র্ক,২১শে অক্টোবর,২০০৯।